ঢাকা,রোববার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় আইনজীবি সহকারি পরিবারের জায়গা ছেঁড়ে দিতে চেয়ারম্যানের নির্দেশ!

cnচকরিয়া প্রতিনিধি :::

চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নে আইনজীবি সহকারি বাহাদুর আলমের পৈত্রিক প্রায় ৫০বছরের ভোগদখলীয় বাগানের জায়গা জকরিয়া নামের এক রোহিঙ্গা নাগরিককে ছেঁড়ে দেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান। নির্বাচিত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার শপথ নিয়েই শুক্রবার বিকালে নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম জায়গার মালিক বাহাদুর আলমকে ডেকে পাঠিয়ে নানা ভয়ভীতির মাধ্যমে জাগয়াটি ছেঁেড় দেয়ার জন্য নির্দেশ দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। চেয়ারম্যানের কথা মতো জায়গা ছেঁেড় না দেয়ায় শনিবার বিকালে লোক পাঠিয়ে অস্ত্রের মুখে বাগান মালিককে জিন্মি করে বাগানের অন্তত ৪হাজার রকমারি গাছের চারা তুলে নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী জায়গার মালিক বাহাদুর আলম। এতে বাগান মালিকের প্রায় দুই লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে।

অভিযোগে বাগান মালিক হারবাং ইউনিয়নের কোরবানিয়া ঘোনা গ্রামের বাসিন্দা (পুর্বের বাড়ি লোহাগাড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের জমিদারপাড়া) মৃত জালাল আহমদের ছেলে চট্টগ্রাম আইনজীবি সহকারি সমিতির সদস্য বাহাদুর আলম শনিবার রাতে চকরিয়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের জানান, কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে উত্তর হারবাং আজিজনগর এলাকায় রোডপাড়া গ্রামে তার প্রয়াত বাবা জালাল আহমদের ভোগদখলে রয়েছে প্রায় ১একর জায়গা। ওই জায়গায় বর্তমানে বিপুল পরিমাণ রকমারী গাছের চারা রোপন করে একটি বাগান সৃজন করেছেন। বাহাদুর আলমের অভিযোগ, বাগানটি রক্ষনা-বেক্ষনের মাধ্যমে জায়গাটি এতদিন শান্তিপুর্ণভাবে তার পরিবার ভোগ দখলে থাকলেও কয়েকদিন ধরে হারবাং ইউপি চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম অনৈতিক সুবিধা নিয়ে মায়ানমারের আকিয়াব এলাকার কাদের হোসেনের ছেলে জকরিয়া নামের এক রোহিঙ্গা নাগরিককে জায়গা দখল পাইয়ে দিতে নানাভাবে অপচেষ্টা চালাতে শুরু করেন। সর্বশেষ গত শুক্রবার (১৭জুন) বিকালে ইউপি চেয়ারম্যান তাকে (ভুক্তভোগী বাহাদুর আলম) ডেকে এনে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে জায়গাটি ছেঁেড় দেয়ার জন্য নির্দেশ দেন। বাহাদুর আলম অভিযোগ করেছেন, চেয়ারম্যানের কথা মতো জায়গাটি ছেঁেড় না দেয়ায় শনিবার (১৮জুন) বিকালে লোক পাঠিয়ে তার বাগানে হানা দিয়ে জোরপুর্বক তুলে নেয় অন্তত ৪হাজার রকমারি রোপিত গাছের চারা। ঘটনার সময় হারবাং এলাকার জিয়াবুল ও সালাহ উদ্দিনের নেতৃত্বে ১৫-২০জনের অস্ত্রধারী ব্যক্তি অংশ নেয়। বাগানের গাছ তুলে নেয়ার জন্য বাঁধা দিতে চাইলে তাকে (বাহাদুর আলম) অস্ত্রধারী লোকজন প্রকাশ্যে হুমকি দেয় এবং অস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখায়। এ ঘটনার পর থেকে বাগান মালিক বাহাদুর আলম ও তার পরিবারের মাঝে হামলার ভয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে শনিবার রাত দশটার দিকে হারবাং ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মিরানুল ইসলামের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তার ব্যবহৃত মুঠোফোনের (০১৮১৮-২৩৬৮৪৮৯) সংযোগ বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। #

পাঠকের মতামত: